যশোর শংকরপুরের শাওন ওরফে টুনি শাওন হত্যা মামলায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শাওনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুকিকাঘাতে হত্যা করেছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, শহরের শংকরপুর রেলবস্তির আলতাফ হোসেন আলতুর ছেলে রকিব হাসান অনিক ওরফে অনি, গোলপাতা সমসজিদ এলাকার আলী আজিম শেখের ছেলে অভিরাজ শেখ ফিরোজ ওরফে গোলেন্ডন ফিরোজ, বটতলা সমজিদ এলাকার আলম সরদারের ছেলে নুর হোসেন দিপু, জমাদ্দারপাড়ার মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মানিক মিয়া, ছোটনের মোড় এলাকার জাফর শেখ ফক্কুর ছেলে তানভীরুল ইসলাম সুজন, ইসহাক সড়কের আমিন মোড়লের ছেলে জয় ও ঝিকরগাছার ইস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুর রহমান ভ্যাবো।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামিরা হলো, আজিম ইসলাম আকাশ, মোহাম্মদ আলী, বিল্লাল হোসেন মৃদুল ও ইয়াসিন হাসান রানা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জুলাই ঈদের পরদিন রাতে শহরের শংকরপুর জমাদারপাড়ার কলেজ রোডের আব্দুল হালিম শেখের ছোট ছেলে শাওন ওরফে টুনি শাওন রাতে বাড়িতে টিভি দেখছিল। সাড়ে ৯ টার দিকে আসামি মানিক ও সুজন তাকে কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে সংবাদ আসে শাওন ছুরিকাহত হয়ে ছোটনের মোড়ের কমিউনিটি পুলিশিং অফিসের মধ্যে পড়ে আছে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের পিতা আব্দুল হালিম শেখ ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত কয়েকজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে ডিবি পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, চাইনিজ কুড়াল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। আটকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা হত্যার সাথে জড়িত ও অপর জাড়িদের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানাগেছে, নিহত টুনি শাওন ও আসামিরা এক সাথে চলাফেরা করত। এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শাওনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুকিকাঘাতে হত্যা করে। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে শনিবার চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।