যশোরে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গেলো দু’দিনে যশোরে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৬ জুন শনাক্ত একশ’ ৫জন ও ৭ জুন শনাক্ত হয়েছে আরও একশ’ দু’জন।
সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। আরোপিত বিধিনিষেধ পালনে জনগণের উদাসীনতায় বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা নেই।
সোমবার (৭ জুন) যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত দু’জনসহ নতুন করে আরও একশ’ দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রোববার রাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ভারত ফেরত ৫৮ জনসহ যশোরের ৮ উপজেলার দু’শ’ ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ভারতফেরত ৩৬ ও ৫৪ বছর বয়সী দু’জন পুরুষসহ ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঁচটি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। তাতে দু’জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।
এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৪০ জনের মধ্যে ২০জন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩০ জনের মধ্যে ১৮জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত যে দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত নতুন দু’জনসহ ভারতফেরত ৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, সোমবার শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে যশোর সদর উপজেলার বাসিন্দা রয়েছেন ৬২ জন। এরমধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ৩৪জন। প্রত্যেক রোগীর ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টেলিমেডিসিন দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার নিয়োগ রয়েছে। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা কোনো রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে আনার জন্য জরুরি অ্যাম্বুলেন্সসহ চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, যশোরে এ যাবত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার চারশ’ ৪০ জন। সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৫৬ জন ও হোম আইসোলেশনের চিকিৎসাধীন আছেন ছয়শ’ ৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ছয়শ’ ৩৯ জন। করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৮২জন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি