যশোরে মাদক সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস রোববার পৃথক এ রায় প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর লতিফা ইয়াসমিন।
প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলেন, শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বারোপোতা গ্রামের আশরাফ আলী মোড়লের ছেলে কামরুজ্জামান ও কাশিপুর গ্রামের মক্কেল মোল্লার মেয়ে জায়েদা খাতুন কুটি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ আগস্ট বিকেল সোয়া চারটার দিকে শার্শা থানার এসআই মিজানুর রহমান উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালান। সেখান থেকে তিনি ২৫ বোতল ভারতীয় মদসহ কামরুজ্জামানকে আটক করেন। এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে আসামি কামরুজ্জামান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংশোধনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে তাকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে প্রবেশন আইনে আট শর্তে দুই বছরের জন্য মুক্তির আদেশ দেন বিচারক।
উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো, দোষী সাব্যস্ত আসামিকে প্রবেশনকালীন তার উপার্জিত অর্থ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় নিজ পছন্দ মতো যে কোনো এতিমখানার বাসিন্দাদের প্রতি মাসে একবার সামর্থ অনুযায়ী একবেলা বিশুদ্ধ খাবার পরিবেশন করতে হবে।
অপর আসামি জায়েদা খাতুন কুটিকে ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শার্শা উপজেলার বটতলা কাশিপুর থেকে ১৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেন গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোমরেজ আলী। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন আসামি জায়েদা খাতুন কুটি। রায়ে আদালত তাকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে পুনর্বাসনের জন্য আট শর্তে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন।
শর্তগুলো হলো, দোষী সাব্যস্ত আসামি বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ শেখের মাজারে ঝাড়ুদার পদে কর্মরত থাকায় প্রবেশনকালীন তাকে প্রতি সপ্তাহে ওই স্থানে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রকার সেবা, তৃষ্ণার্ত দর্শনার্থীদের পানি পান করানো, দর্শনার্থীদের সাথে থাকা শিশুদের জন্য সময় প্রদান করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম