যশোর শহরের নড়াইল বাসস্ট্যান্ডে বাঁধন চৌধুরী (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা মণিহার এলাকা। ভাঙচুর করা হয়েছে দুটি বাস। বন্ধ ছিল চার ঘন্টা যানবাহন চলাচল। আহত বাধন সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের খিতিবদিয়া গ্রামের মনির চৌধুরীর ছেলে এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত বাঁধন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নড়াইল থেকে বাসযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মণিহার এলাকায় বাস থেকে নামলে অজ্ঞাত এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে তিনি ধারণা করছেন, ওই বাসের সুপারভাইজার বা হেলপার তাকে ছুরিকাঘাত করতে পারেন। কেননা, বাসের ভাড়া নিয়ে তার সাথে বিরোধ হয়েছিল।
এ ঘটনা জানাজানির পর সন্ধার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা মনিহার এলাকা। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সড়কে আগুন জালিয়ে অবরোধ করেন। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এরপর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে রাত ৮টার দিকে হাজির হন সেনাবাহিনীর মেজর সাদমান ইবনে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন ও জুয়েল ইমরান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে তর্কবিতর্ক করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এসময় আকাশ নামে এক যুবককে হামলাকারী চিহিৃত করে আটক করে পুলিশ। পরে রাত ১০ টার দিকে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিস্থিতি শান্ত ও যানবাহন চলাচল শুরু হয়।