যশোর শহরের আরবপুর মোড়ে বিশে হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের মুলহোতা সাগরকে শনিবার ভোরে গ্রেফতারসহ হত্যায় ব্যবহৃত চারটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিতে সাগর জানিয়েছে, বালি ব্যবসার টাকার দ্বন্দ্বে বিশেকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
শনিবার পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, নিহতের ভাই শুভ হাওলাদার (৩০) থানায় দায়েরকৃত মামলায় বলেছেন, তার ভাই আমিনুর রহমান বিশে (৪৫) মাছ ও বালির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করত। আসামি সাগর ও বিশে একইসাথে বালির ব্যবসা করত। তিনি আসামি সাগর এর কাছে কিছু টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে গোলযোগ হয় ও সাগর বিশেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
২১ ডিসেম্বর বিশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আরবপুর মোড়ে আসলামের হোটেলে যায়। এসময় সাগর, আকাশ, তরিকুল, ফেরদৌস, নাঈম, রুবেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন বিশের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
সালাউদ্দীন শিকদার বলেন, শনিবার ভোর ৩টার দিকে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের চৌগাছিয়া গ্রাম থেকে হত্যার মূল আসামি সাগরকে পুলিশ আটক করে।
এরপর সাগরকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন জবানবন্দি গ্রহন শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জবানবন্দিতে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, বালি ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিশেকে হত্যা করা হয়।
এরআগে গত ২৪ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলায় আটক আরো তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা হল, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আকাশ, মৃত আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম কর্ণ ও একেএম শামসুদ্দিনের ছেলে তাহাসিনুল ইসলাম নাঈম। তারা সবাই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন