খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

যশোরে বিতর্কিত ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় আবারও রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বিতর্কিত প্রিন্স হসপিটালে মুন্নি খাতুন (২৬) নামে এক নারীর অপচিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ওই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ডাক্তার মোসলেম উদ্দীন বলেন রোগীর শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে মৃত্যু হয়েছে। মৃত মুন্নি সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের আল-আমিনের স্ত্রী।

মৃতের স্বজনরা জানান, মুন্নি বিরল রোগ গুলেনবারি সিনড্রোম (জিবিএস) রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এতে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে শহরের মুজিব সড়কের পিস্ হসপিটালে ডাক্তার মোসলেম উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করেন। ভর্তির পর থেকেই রোগীর অন্য ওষুধের সাথে এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম ইনজেকশন চলছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের সেবিকা রুবি রোগীকে ৬ষ্ঠ ডোজের মেরোপেনেম ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছু সময় পরই ছটফট করতে করতে মারা যান মুন্নি।

এ সময় রোগীর স্বজনরা কি ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে জানতে চাইলে রোগীর ফাইলপত্র নিয়ে চলে যান ওই সেবিকা ও স্টাফরা। রোগীর শরীরে ভুল ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন তারা পরিবার ও স্বজনরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হাসপাতালের চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও সেবিকা রুবি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী শেফালীকে মারপিট করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

বিতর্কিত প্রিন্স হসপিটালে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে সত্ত্বাধিকারী ডাক্তার মোসলেম উদ্দীন দোষ শিকার করে বলেন, যে সেবিকা ওই রোগীকে ইনজেকশন পুশ করেছে তিনি কোনো ডিপ্লমাধারী সেবিকা নন। তাকে দিয়ে রোগীকে ইনজেকশন পুশ করা উচিত হয়নি। তবে ওই রোগী শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মারা গেছেন বলে তিনি দাবি করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!