যশোরের চাঁচড়ায় এক বাস চালককে মারপিট করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাসের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে চাঁচড়া মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে বেনাপোল-সাতক্ষীরা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ২টায়। পরে পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে ৪৫ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। কিন্তু যানজট কাটতে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, চাঁচড়া চেকপোস্টে এদিন সকাল নয়টার দিকে বেনাপোলের দিক থেকে একটি বাস এসে থামে। এসময় একটি ইজিবাইক বাসের সামনে থাকা নিয়ে দুই চালকের মধ্যে দ্ব›দ্ব হয়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ইজিবাইক চালক আশিককে বকাঝকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে ইজিবাইক চালক আশিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই বাসচালককে খুজতে টার্মিনালে যায়। সেখানে গিয়ে না পেয়ে ফের তারা চাঁচড়ায় আসে। বেলা দেড়টার পর ওই বাস চালক বাবুলকে পেয়ে তারা বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায় বাসের সামনের কাচে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন এগিয়ে আসলে আশিকসহ অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা চাঁচড়া মোড়ে বাস আড় করে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় আসিকসহ তার সহযোগিদের আটকের দাবি জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইজিবাইকচালক আশিকের মায়ের দাবি, আশিককে সাধারণ সম্পাদক মিজানের নেতৃত্বে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এখন উল্টো তার ছেলেকে দোষি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ বিশু দাবি করেন, চাঁচড়া মোড়ে বাস আসলেই ইজিবাইক ঘিরে ধরে। যাত্রী নামার সুযোগ দেয়া হয় না। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবি জানান।
এ বিষয়ে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। পরে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে সড়ক থেকে গাড়ি সরিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই