খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

যশোরে বাবার বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে আল-আমিন নামে ৫ বছরের এক শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড পিতা। শশিুটি এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাকুড়া গ্রামে। শিশুটি একই গ্রামের দাউদ সরদারের ছেলে হলেও নানী সাকিরন নেছার কাছে থাকতো।

দগ্ধ আল-আমিনের নানী সাকিরন নেছা জানান, তিনি অত্যন্ত অভাবী মানুষ। যে কারণে দাউদ সরদারের বাড়িতে কাজ করতেন। কাজ করার কারণে তার কিশোরী কন্যার যাওয়া-আসা ছিল দাউদ সরদারের বাড়িতে। এ সুযোগে দাউদ তার কিশোরী কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী কন্যা গর্ভবর্তী হয়। এ ঘটনায় সাকিরন নেছা বাদি হয়ে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। যার নম্বর ২২৩১৭। বর্তমানে মামলাটি ওই আদালতে বিচারাধীন আছে। ওইসময় গর্ভের বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভের সন্তান দাউদ সরদারের বলে প্রমাণিত হয়। তখন আদালত তাকে আটকের নির্দেশ দিলে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়। বিয়ের শর্তে আদালত তাকে আটক করেনি। তিনি আদালতের নির্দেশে বিয়ে করলেও ওই বাচ্চা ও স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেয়নি দাউদ সরদার। ফলে মেয়েটি বাপের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।

সাকিরন নেছা আরো জানান, দাউদ সরদারের বয়স ৬৫ বছর। ছেলে-মেয়েরা অনেক বড়, উচ্চ শিক্ষিত ও বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন। ৫ বছরের ছোট বাচ্চা যখন তাকে আব্বা বলে ডাকেন, তখন তাদের সম্মানে বাঁধে। যে কারণে এই বাচ্চাটাকে তারা মেরে ফেলতে চেয়েছে। তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বুধবার রাত ১টার দিকে শিশু আল-আমিনের শরীরে আগুন দেয় দাউদ সরদার ও তার পরিবারের লোকজন। এসময় আল-আমিনের চিৎকারে সবাই চলে আসে এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। পরে নানী সাকিরন নেছা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হচ্ছে বলে জানান সাকিরন নেছা।

অভযিুক্ত দাউদ সরদার জানান, এ ঘটনা মিমাংসার জন্য সাকিরনকে ১২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এ টাকায় ওই সন্তানের সকল খরচ বহন করার দায়িত্ব তার। তিনি প্রতিমাসেও সন্তানের ভরণ পোষণের জন্য খরচ দেন। এরপর সাকিরন তার কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় আল-আমিনকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। একই ঘরে সাকিরন ও আল-আমিন ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু আল-আমিন অগ্নিদগ্ধ হলেও সাকিরনের কিছু হয়নি। এটি বিশ্বাস করবার মতো নয়। এ ঘটনায় তিনি সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!