খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

যশোরে নয়টি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক বন্ধ, ভুয়া ডাক্তার আটক

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় দুটি উপজেলার ৯টি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় আবদুস সামাদ ওরফে আজাদ নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি মুক্তি পান। তার প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও ব্যবস্থাপত্রের প্যাড পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মীর আবু মাউদ।

ডা. আবু মাউদ জানান, বন্ধ ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মণিরামপুর উপজেলার অর্থোপেডিক ডা. নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন রোকেয়া ক্লিনিক, কেশবপুর উপজেলার ডিজিটাল মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আরিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কেশবপুর সার্জিক্যালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাইকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাইজিং প্যাথলজি সেন্টার ও পাইসল সেন্টার।

তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে চলছিলো। ৯টির মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের কোন লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য মালিকরা অনলাইনে আবেদনও করেননি। ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই । চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে তারা অসুস্থ মানুষের সাথে রীতিমতো প্রতারণা চলে আসছিলো। অবৈধ এসব ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ও এমটি ল্যাব নেই। প্যাথলজি কক্ষের অবস্থাও খুব খারাপ।

ডা. মাউদ আরো জানান, কেশবপুরের রাজগঞ্জ রোডে অবস্থিত পাইলস সেন্টারে আব্দুস সামাদ আজাদ নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসক পরিচয়ে মানুষের অপচিকিৎসা করে আসছিলেন। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তিনি চিকিৎসকের কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। এমনকি তার প্রতিষ্ঠানের কোন লাইসেন্স নেই। আব্দুস সামাদ আর কোনদিন চিকিৎসক পরিচয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করবেন না এমন মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসময় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও ভুয়া ব্যবস্থাপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

শনিবার বিকেল ৩টা থেকে দুটি উপজেলা জুড়ে শুরু হওয়া অভিযান চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর কবির, আবাসিক মেডকিল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রন) ডা. নাসিম ফেরদৌস, স্যানেটারি কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম লাহিড়ী প্রমুখ।

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!