যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাকিব হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে ফলাফল প্রকাশের পর শহরতলীর চাঁচড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার এ ওয়ান নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক সাকিব ওই এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মী ছিলেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরতলীর চাঁচড়ায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল চাকলাদার ফন্টুর কর্মী সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। এ সময় দোয়াত-কলম প্রতীকের ৫/৬ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে মোটরসাইকেলের কর্মী ও স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে সাকিবকে ধরে ফেলে। তাকে গণপিটুনী দেয়া হয় । এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসকরা।
রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়, কিন্তু একটি দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে সাকিবের স্বজনরা। তাকে ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে চক্রটি এ ওয়ান নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করায়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাকিবের মৃত্যু হয়।
এদিকে, তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে চাঁচড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাকিব নামে এক সন্ত্রাসীকে চাঁচড়া এলাকাবাসী বুধবার সন্ধ্যারাতে গণপিটুনী দিয়েছে। পরে তাকে ঢাকায় নেয়া হলে মৃত্যু হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্বজনরা মৃতদেহ চাঁচড়া মধ্যপাড়ায় আনেন।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মামলা হবে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মামলা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে