সারাদেশের ন্যায় যশোরেও ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ছিল টিকার প্রথম দিন। এদিন পিটিআই কেন্দ্রে সাতশ’ ৬২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়। সকলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে করোনার এ টিকা গ্রহণ করেন। এদিন যশোর সরকারি এম এম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়।
এদিন সকাল নয়টায় টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর আহসান হাবিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আযম, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর আবু মাউদ।
সরকারি এমএম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সরকার টিকার ব্যবস্থা করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধুরা মিলে টিকা গ্রহণ করছি।
সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থী লাবিবা জাহান ইশরাত বলেন, সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজন আছে। আগে ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো। টিকা নেয়ার পর সেই ভয় কেটে যাবে। এখন নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারবো।
টিকা কেন্দ্র উদ্বোধনে এসে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোর জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু করা হয়েছে। তাদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। তবে, সকলে মিলে সেটি মোকাবিলা করা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওয়াত আনা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আযম বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমে এক লাখ পাঁচ হাজার ছয়শ’ ৪৯ জনকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সকলকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। প্রথম দিন সাতশ’ ৬২ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী টিকা কেন্দ্রে আসলে তাকে টিকা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়নি। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপির সাথে দু’টি করে ফটোকপি এবং জন্মসনদ আনলেই তাদের টিকা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি মহিলা কলেজ, এমএম কলেজ ও শিক্ষাবোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের আরো এক হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। টিকা নিতে হলে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে আসতে হবে। কেননা, যেদিন যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে ওইদিন ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই