যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন স্পেন প্রবাসী নারী ফেরদৌসী বেগম (৪০)। এসময় আহত হয়েছেন তার মেয়ে জান্নাতুল (১২)। তাকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার নওয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ওইদিন গভীর রাতে চোরেরা তার বাড়িতে চুরি করতে প্রবেশ করে। এসময় তিনি চোরদের দেখে চিকিৎকার দিলে চোরেরা ছুরিকাঘাত করলে তিনি মারা যান। নিহত ফেরদৌসী বেগম উপজেলার নওয়ালী গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।
ফেরদৌসী বেগম ও তার স্বামী, সন্তানসহ পরিবারের সবাই গত ২৫ বছর ধরে ইউরোপের দেশ স্পেনে বসবাস করেন ও তারা সবাই স্পেনের নাগরিক। ছেলে আহসান কবীর হৃদয়ের বিয়ে উপলক্ষে এক বছর আগে তারা দেশে আসেন। ছেলের বিয়ের পর স্বামী ও ছেলে স্পেনে চলে গেলেও ফেরদৌসী বেগম মেয়ে নিয়ে ঝিকরগাছার বাড়িতে থেকে যান।
পুলিশ জানায়, ওইদিন রাত দু’টার দিকে রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা ফেরদৌসী বেগমের গলায় ও বুকে ছুরিকাঘাত করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে মেয়ে জান্নাতুল তার চাচাদের ডেকে তোলেন। এতে চোরেরা তাকেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেরদৌসী বেগমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশ আহত জান্নাতুলকে নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহত ফেরদৌসী বেগম দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী।
এ বিষয়ে যশোরের নাভারণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, চোরেরা চুরি করতে এসে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে