যশোরে যুবলীগের বর্ধিত সভায় যেতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে দশ যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। থানা পুলিশ হামলাকারী তিনজনকে আটক করেছে। বুধবার দুপুরে শহরের মাইকপট্টি ও ঈদগাহমোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন শহরের মুড়লীমোড় এলাকার শফিয়ার রহমান শফির ছেলে রাব্বি (২০), আরএন রোড এলাকার হ্যাপী (৩০), শহরতলীর বিরামপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (১৮), সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আকিবুর (১৮) ও রুপদিয়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (৩০), রাসেল হোসেন (১৭) ও টিটু (১৮)।

আহত রাসেল অভিযোগ করে বলেন, সকালে যুবলীগের বর্ধিত সভায় মিছিল নিয়ে শহরের চিত্রার মোড়ে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে যাচ্ছিলাম। এসময় মিছিলটি মাইকপট্টি পৌঁছালে হ্যাপি লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হ্যাপি অভিযোগ করে, রাসেলকে কারা ছুরি মেরেছে আমার জানা নাই। যুবলীগের মিছিল শেষে রাসেল লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরি মেরে আহত করেছে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। একই ঘটনায় খায়রুলকে ঈদগাহ মোড়ে, টিটুকে মুসলিম একাডেমি স্কুল ও আকিবুলকে টাউন হল ময়দানে ছুরিকাঘাত করে যুবলীগের অপর পক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনায় জেলা যুবলীগের কয়েকটি গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দর রশিদ বলেন, হ্যাপি, খায়রুল ও আকিবুলের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এটা বন্ধ করা কঠিন হাচ্ছে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাইজুল ইসলাম বলেন, আমি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ নিয়েছে। যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এনএম