যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো, শহরের বেজপাড়া মসজিদবাড়ি রোডের মৃত মাহমুদ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান লিটন ওরফে ভাংড়ি লিটন, বেজপাড়া বুনোপাড়ার মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে বুনো আসাদ, বেজপাড়ার বিহারি কলোনির শাহাবুল আলম বাবলুর ছেলে খোরশেদ আলম, রাঙামাটি গ্যারেজ এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন শিপন ওরফে লম্বা শিপন, খড়কি কলাবাগান এলারকার ফায়েক শেখের দুই ছেলে ছেলে সাগর শেখ ও রমজান শেখ এবং শংকপুর সার গোডাউন এলাকার কাজী তৌহিদ ওরফে তহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রাতে ইমন বেজপাড়া গোলগুল্লার মোড়ে সালামের ফার্নিচারের দোকানের সামনে বসে লুডু খেলছিলেন। রাত ১১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে ইমনকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। দুই রাউন্ড গুলি বুকে ও একটি গুলি ডান কাঁধে বিদ্ধ হলে ইমন মাটিতে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন এই ঘটনায় অপরিচিত ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ, পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। আসামিদের মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করায় পরিকল্পনা করে ইমনকে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে রোববার আদলতে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক হারুন। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।