যশোর জেলা ছাত্রদলের ১৭টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ঘোষিত প্রতিটি কমিটিতে ২১ জন করে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিবাহিত, অছাত্র ও আন্দোলন সংগ্রামে না থাকাদের কমিটিতে আনা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন উপায়ে কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ছাত্রদলের রাজনীতি করেননি এমন অনেকে। আরো অভিযোগ উঠেছে, জুনিয়রদের বড় পদ দিয়ে সিনিয়রদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত কমিটির শীর্ষ নেতারা হলেন, যশোর সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক আলমগীর হোসেন লিটন, সদস্য সচিব পিকুল হোসেন, যশোর নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সুমন আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ কায়সার ইশতি, সরকারি এমএম কলেজ শাখার আহবায়ক শেখ ইমাম হাসান, সদস্য সচিব নুর ইসলাম রুবেল, পলেটেকনিক ইনস্টিটিউিট শাখার আহবায়ক সাইদুর রহমান, সদস্য সচিব মাহাদী হাসান রিফাত, সরকারি সিটি কলেজ শাখার আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সদস্য সচিব শাওন ইকবাল সজিব, কেশবপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ, কেশবপুর পৌর কমিটির আহবায়ক খাইরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখার আহবায়ক রাহাদুল ইসলাম সুজন, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, শার্শা উপজেলার আহবায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন, সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খান, বেনাপোল পৌর শাখার আহবায়ক হয়েছেন আরিফুল ইসলাম আরিফ, সদস্য সচিব ইশতিয়াক শাওন, মণিরামপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক আলিয়ার রহমান, সদস্য সচিব ইউনুস আলী জুয়েল, মণিরামপুর পৌর আহবায়ক কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব মিকাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলা কমিটির আহবায়ক নাঈম হোসেন বিজয়, সদস্য সচিব তকিবুর রহমান, নওয়াপাড়া পৌর শাখার আহবায়ক আসাদুজ্জামান ইমন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল, বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক নাফিজ ইকবাল ঈশা, সদস্য সচিব মাসুদ পারভেজ, বাঘারপাড়া পৌর শাখার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, সদস্য সচিব হৃদয় তারেক, বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজ শাখার আহবায়ক তাসকিন তানহা নাঈম ও সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন।
এ বিষয়ে যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, কোনো কোনো কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগীদের বাদ দেয়া হয়েছে, যা অনাকাঙ্খিত। কেন্দ্রে যে সুপারিশ করা হয়েছিল, অনেক জায়গায় তা মানা হয়নি। এটি কেন্দ্র থেকে করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী বলেন, কমিটিতে অনেকে এসেছেন, যাদের আন্দোলন সংগ্রামে কোনদিন দেখা যায়নি। তবে, কোনো কোনো ইউনিট যোগ্য নেতৃত্বের হাতে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় টিম লিডার মিজানুর রহমান সজিব জানান, জেলা ছাত্রদলের সুপার ফোর নেতাদের নিয়ে, কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন ও বিভাগীয় টিমের চার জনের সমন্বয়ে যাচাই বাছাই করে কমিটি দেয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন
