যশোরে নারী চোরচক্রের খুলনার চার সদস্যকে আটক করেছে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি চোরাই মোবাইল ফোন ও নেশার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার রামনগর চর রূপসা গ্রামের আকলিমা খাতুন, একই গ্রামের শারমিন খাতুন, আইচগাতি গ্রামের শিখা বেগম ও সিমেট্রি রোড মুড়িপট্টির সোনিয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের গাড়িখানা রোডের পুলিশ প্লাজা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পুরাতন কসবা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রেজাউল করীম জানান, বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে নারীদের টার্গেট করা তাদের মূল পেশা। এরপর নিজেরাই ক্রেতা সেজে মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা টার্গেটকৃত নারীদের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে থাকে। পরে সুযোগ বুঝে কৌশলে ব্যাগ থেকে চুরি করে নেয় নগদ টাকা কিংবা মোবাইল ফোন। এভাবে বেশ কয়েকদিন আগে যশোরের পুলিশ প্লাজা থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন চুরি করে তারা। যা পুলিশ প্লাজার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
একইভাবে আটক নারীরা শুক্রবার বিকেলে পুলিশ প্লাজায় চুরির উদ্দেশ্যে আসে। তখন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়। ওইসময় তাদের কাছ থেকে দু’টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় যশোর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আমেনা খাতুন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি পুলিশ প্লাজায় কেনাকাটা করতে যান। ওইসময় আসামিরা তার ও তার বান্ধবীদের ব্যাগ থেকে তিনটি মোবাইল সেট কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার তিনি ফের পুলিশ প্লাজায় যান। এসময় আসামিরা একইভাবে তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের ধরে ফেলে। পরে মহিলা পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের কাছ থেকে চোরাই দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
খুলনা গেজেট/কেডি