যশোরের কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার রামনগর বাকাবর্শী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে রাজু আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, কেশবপুরের লক্ষীনাথকাটি গ্রামের এসএম ইমরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম এবং মৃত হারান সরদারের ছেলে আবু দাউদ সরদার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজু আহমেদের সাথে আসামি এস এম ইমরুল ইসলামের পূর্ব পরিচয় ছিল। ইমরুল তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানান। এ কথা জানতে পেরে রাজু তার পরিচিত ধর্মপুর ও ঝিকরা গ্রামের আরিফুল ও সালাম খানকে চাকরি দেয়ার জন্য আসামিদের কাছে নিয়ে যান। এসময় তাকে চাকরি দেবার জন্য সর্বমোট তিন লাখ টাকা দেয়া হয়।
৩১ অক্টোবর একটি নিয়োগপত্র দিয়ে ওই দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করতে বলা হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করতে গেলে বাদী জানতে পারেন ওই পত্রটি জাল। পরে টাকা ফেরত চাইলে স্বামী স্ত্রী নানা টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা টাকা দেবেন না বলে জানান। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড