যশোরে বিশেষ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনজনের কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ফরিদা রহমান (৫১) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চাকরি দিতে না পারায় তার প্রদত্ত চেকগুলি ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় ওই নারীর বিরুদ্ধে গত রোববার যশোরের আদালতে মামলা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ফরিদা রহমান জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার রুদ্র বয়ড়া গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার পতেঙ্গালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে সোহেল রানা (২৪), নাজমুল হাসান রাজীব (৪০) ও মৃত আরমান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওই নারীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের পৃথক মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদা রহমান যশোরে বসবাস করতেন। তার ছেলে চাকরি করতেন বিশেষ বাহিনীতে। এ সুবাদে চাকরি দেয়ার কথা বলে সোহেল রানার কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা, নাজমুল হাসান রাজীবের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ফরিদা রহমান।
কিন্তু তাদের চাকরি দিতে না পারায় তিনি গত ১৫ জুলাই টাকা উত্তোলনের তারিখ দিয়ে তিনজনকে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড যশোর ক্যান্টনমেন্ট শাখায় তার অ্যাকাউন্টের ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু নিদির্ষ্ট তারিখে তারা টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংকে ফরিদা রহমানে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কর্তৃপক্ষ চেকগুলি ডিজঅনার করে। এরপর তারা ফরিদা রহমানের উল্লিখিত ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। কিন্তু ফরিদা রহমান ডাক পিওনকে প্রভাবিত করায় প্রাপককে পাওয়া যায়নি বলে নোটিশ ফেরত আসে। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে এবং টাকা পরিশোধ না করায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই