যশোরে চাঁদাবাজি মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এবং শাহিনুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত দুই জন হলেন, শহরের ঘোপ জেল রোডের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এবং তার সহযোগী একই এলাকার এনায়েত আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, শহরের জজকোর্ট মার্কেট মুজিব সড়ক এলাকায় হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহিন। ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় শাহিন চাঁদা আদায়ের জন্য সেখানে গেলে হকারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। হকারদের আপত্তিতে পাশে থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল সেখানে উপস্থিত হয়ে শাহিনকে চাঁদা তুলতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহিন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে ফোন করে ডেকে আনেন। মিলন ঘটনাস্থলে এসে পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলালুজ্জামান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং রাত ৯টায় ফাঁড়িতে উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
কিন্তু সেখানেও উত্তেজনা বাড়ে। একপর্যায়ে শহিদুল ইসলাম মিলন তার সঙ্গে থাকা শর্টগান দেখিয়ে হুমকি দেয় মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে। এক পর্যায়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গুলি করার হুমকিও দেন। এরপর অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম শফিকুল আলম। তার বদলির পর বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা কাজী বাবুল হোসেন তদন্ত শেষ করে আদালতে রোববার (৬ এপ্রিল) বিকালে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে
