গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের তিন নির্বাহী কর্মকর্তা যশোরে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কর্মকর্তারা তাদের দাবি মেনে নিতে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তারা মুক্ত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার শহরের বাঁচতে শেখা অডিটোরিয়ামে গ্রামীণ ব্যাংক যশোর জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠক চলছিল। এসময় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির খুলনা বিভাগের সব জেলার তেৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিন নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমিতির নেতৃবৃন্দের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাহী তিন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাদেরকে হলরুমের বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। এরপর প্রবল চাপের মুখে কর্মকর্তারা তাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডে উত্থাপন করবেন বলে ডিএমডি জামাল উদ্দিন মুচলেকা দেন। এরপর তাদেরকে দরজার তালা খুলে বাইরে বের করে আনা হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে দু’টি উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও অবসর হওয়ার ১৫ বছর পর পুনঃপেনশন স্থাপনের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। কর্মকর্তাদের আশ্বাসের মুখে তারা এ আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তবে শিগগির দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কবীর উদ্দিন, ১০ জেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ এমএইচবি