যশোর সদর, চৌগাছা এবং শার্শা উপজেলায় সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুদাম ও অটো রাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী পাইকারী ব্যবসায়ী পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ দিন এবং খুচরা ব্যবসায়ী পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ দিন ধান/চাল মজুদ করে রাখার বিধান থাকলেও অনেক গুদাম এবং মিল পরিদর্শন করে ব্যতিক্রম পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে চৌগাছা উপজেলার এবি এগ্রো রাইস প্রসেসিং মিলে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা এবং বিভিন্ন অপরাধে মিলের সত্ত্বাধিকারী আক্তারুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও সতর্ক করা হয়। তার প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, ২০১৯ সালের চালও মজুদ রয়েছে। তাকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মজুদ শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অন্যথায় রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে বলা অঙ্গীকার নেয়া হয়। এছাড়া, যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল বাজারে অবস্থিত এসকে আটো রাইস মিল পরিদর্শন করে অবৈধ মজুদদারী বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এছাড়া, শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি উপজেলার শ্যমলাগাছিতে অবস্থিত জননী রাইস মিল এবং চৌধুরী অটো রাইস মিল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের মজুদদারীর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন।
খুলনা গেজেট / এমএম