যশোরে তাঁতীলীগ নেতা আব্দুর রহমান কাঁকন হত্যা মামলায় আটক শরিফুল ইসলাম জিতু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যায় তার সাথে আরও চারজন জড়িত বলে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন। জিতু মোল্লাপাড়ার সিরাজুল ইসলাম সিরার ছেলে।
শুক্রবার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সিআইডির পুলিশ সুপার জাকির হোসেন। জিতুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, আদালতে জবানবন্দিতে শরিফুল ইসলাম জিতু বলেছেন, ঘটনার রাতে তিনিসহ আরও তিনজন একটি রিকশায় করে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বারান্দি মোল্লাপাড়ার কবরস্থান এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তখন কাঁকন তাদেরকে উত্ত্যক্ত করে বলেন, এক রিকশায় চারজন কেন, আরও বেশি উঠতে পারলি না। এ কারণে ক্ষিপ্ত হন জিতুসহ তার সাথের অন্যরা। তখন তারা চারজনই রিকশা থেকে নেমে কাকনের কাছে যান। এ নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির পর তারা কাঁকনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এরপরে তারা জানতে পারেন কাকন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া কবরস্থান মোড়ের নারায়ণ ঘোষের চায়ের দোকানের সামনে খুন হন কাঁকন। এ ঘটনায় নিহতের মা সুফিয়া খাতুন ১৮ নভেম্বর অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি সিআইডি পুলিশ তদন্ত করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম