খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

যশোরে এহসান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও ৬ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে গ্রাহকের ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান সংস্থার চেয়ারম্যান মুফতি তাহের নদভীসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরো ৬টি মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ৫ জন গ্রাহক রোববার আদালতে এ মামলা করেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগগুলি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন ।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী গ্রাহকরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের সাদেক আলীর স্ত্রী মনজিলা বেগম, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের ছেলে মকছেদ আলী, চাঁচড়ার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে মাসুদুর রহমান, শহরের শংকরপুর আশ্রম রোডের মৃত শেখ আমিন উল্লাহর ছেলে শেখ রহমত উল্লাহ ও তার স্ত্রী আফরোজা বানু।

এর মধ্যে মাসুদর রহমান সাড়ে ৬ লাখ টাকা, মনজিলা বেগম ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, মকছেদ আলী ৬ লাখ ২শ’, সেখ রহমতউল্লাহ ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং আফরোজা বানু ১টি মামলায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও আরেকটি মামলায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে লগ্নিকৃত টাকার দ্বিগুণ ফেরত দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময় যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড অফিসে গ্রাহকদের কাছ থেকে এসব টাকা গ্রহণ করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মুফতি আবু তাহের নদভী, প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার সাজিয়ারা গ্রামের কাজী রবিউল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জুনায়েদ আলী, পরিচালক মাগুরার রাউতলা গ্রামের আজিজুর রহমান, পরিচালক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার লক্ষীধরদিয়াড় গ্রামের মঈনউদ্দিন, পরিচালক খুলনার লবনচরা হরিণটানা রিয়াবাজার গ্রামের মুফতি গোলাম রহমান, পরিচালক গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার চড়মাটিন গ্রামের আব্দুল মতিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার খুবদিপুর গ্রামের আমিনুল হক, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিচুবাগান জামালখান রোডের কলিমুল্লাহ কলি, পরিচালক খুলনার খানজাহান আলীর শিরোমনি এলাকার মিজানুর রহমান, পরিচালক যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মুফতি ইউনুস আহম্মেদ, পরিচালক খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মরল গ্রামের মনিরুল ইসলাম, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী, পরিচালক যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যপাড়া গ্রামের সামসুজ্জামান টিটু, ব্যবস্থাপক (যশোর শাখা) মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আতাউল্লাহ, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হালিম, মাঠকর্মী যশোর শহরের কারবালা রোডের সিরাজুল ইসলাম সোনা মিয়া, উপশহর এ-ব্লকের শামসুর রহমান, সমন্বয়কারী সেক্রেটারি যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার বাবর আলী, একই এলাকার আব্দুল হক, শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের এস এম সেলিম উল চৌধুরী, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাটি গ্রামের মোকসেদ আলী ও যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মুফতি ফুরকান আহমেদ।

এর আগে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আরো ৩টি এবং কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!