যশোর উপশহরের প্রত্যাশা সমাজকল্যাণ সংস্থার এক কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সহসভাপতি, এরিয়া ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বুধবার প্রত্যাশা সমাজকল্যাণ সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক ঝিনাইদহের মহেশপুরের নস্তি গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস ভিকুর স্ত্রী আমেনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, উপশহর এ কের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সভাপতি এসএম নাজিম উদ্দিন, সদর উপজেলার ভায়না রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লার দু’ ছেলে এরিয়া ম্যানেজার বাহার আলী, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও ঘুরুলিয়া গ্রামের আবেদ আলী মোল্লার ছেলে প্রধান হিসাবরক্ষক মাসুদুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, প্রত্যাশা সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন গোলাম কুদ্দুস ভিকু। আসামিরা সংস্থার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। গোলাম কুদ্দুস ভিকু জীবিত থাকা অবস্থায় সংস্থার ১৭ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল ধরা পড়ার পর তিনি আসামিদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আসামিরা তাকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দেয়। এরপরও ভিকু তাদের কাছে টাকার হিসাব চাওয়ায় আসামিরা ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর ভাড়াটে খুনি দিয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে হত্যা মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। নির্বাহী পরিচালক গোলাম কুদ্দুস ভিকুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামীর রেখে যাওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের এক কোটি ১০ লাখ ও আগে আত্মসাতকৃত ১৭ লাখ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি আসামিরা।
আমেনা খাতুন প্রত্যাশা সমাজকল্যাণ সংস্থার গভর্নিংবডির সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি তাদের কথায় বিশ্বাস করে ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর পাঁচ লাখ টাকা দেন। শর্ত অনুযায়ী দু’ মাসের মধ্যে তাকে সদস্য করে নেবেন। কিন্তু ছয়মাস অতিবাহিত হলেও আসামিরা তাকে সদস্য পদ দেননি। গত ২০ এপ্রিল আমেনা খাতুন অফিসে গিয়ে গভর্নিং বডির সদস্য না করার কারণ ও আত্মসাতকৃত এক কোটি ২৭ লাখ টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা তাকে সদস্য করবে না এবং কোনো হিসাব দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ কারণে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে এ মামলা করেন।