যশোরে ইরিয়ান গাজী (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২২ মে) বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে শনিবার সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিহত ইরিয়ান গাজী আরবপুর ইউনিয়নের সুজলপুর গ্রামের খোরশেদ গাজির ছেলে।
এদিকে, রাসেল হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
নিহত ইরিয়ানের বাবা খোরশেদ গাজী অভিযোগে জানান, এলাকার গোলাম, শরিফ, জাকারিয়া, বুদো, নাহিদ ও লিটনের সাথে ইরিয়ানের পূর্ব বিরোধ ছিলো। এ বিরোধের জের ধরে ইরিয়ান জীবনের ভয়ে কৃষ্ণবাটি গ্রামে বোন শাহানারার বাড়িতে পালিয়ে থাকতো। শনিবার গোলাম কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কৃষ্ণবাটি গ্রামে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। পরে সেখান থেকে ইরিয়ানকে অপহরণ করে সুজলপুর জামতলা মাঠের মধ্যে নিয়ে দ্বিতীয় দফা গণপিটুনী দেয়। এরপরে জামতলা মোড়ে রাস্তার ওপরে এনে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে দুই ঘণ্টা মাটিতে ফেলে রাখা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের অনুরোধে ইরিয়ানকে ছেড়ে দিলে খবর পেয়ে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর আমরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে ইরিয়ান মারা যায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মারপিটে ইরিয়ানের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাটি আমরা জেনেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।
এদিকে, যশোরে রাসেল হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২২ মে) সকালে সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাহিম হোসেন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আকিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকালে কৃষ্ণবাটি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে রাসেলের অর্ধগলিত মৃতদেহ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে%A