যশোরে ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় শহরের রেলগেট থেকে তাকে আটক করা হয়।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইরফানের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় কাদের। ওই টাকা চাওয়ায় কাদেরের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় ইরফান ফারাজীকে। পুলিশ আটকের পর ইরফানের কাছ থেকে কাদেরের নেয়া ৫০ হাজার টাকা, ১শ’ টাকা মূল্যের একটি স্টাম্প এবং ইরফানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। কাদের রেলগেট রায়পাড়া এলাকার মজিদের ছেলে। সে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ যশোর পৌর শাখার সভাপতি পরিচয় দিতো।
এরআগে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া তৌহিদুল নামে আরেক আসামিকে আটক করে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সে হত্যার নেপথ্যের কাহিনী জানায়। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে তৌহিদুল স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। তার দেয়া তথ্য ধরে ডিবি পুলিশ কাদেরকে আটকের অভিযানে নামে।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গোপন খবরে জানতে পারেন কাদের রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক পুলিশের টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাদেরকে আটক করে। পরে কাদের এ হত্যার নেপথ্যের কাহিনী পুলিশকে জানায়।
তিনি জানান, মূলত চাকরির কথা বলে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ইরফানের কাছ থেকে নেয় কাদের। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় কাদের। একপর্যায়ে টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ইরফানের সাথে। এরই জেরে ইরফানকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাদের। ইরফানকে হত্যার জন্য পাখি, তৌহিদ, রাহুল ও শিশিরের সাথে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে কাদের। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর তারা চাকু নিয়ে কারবালা কবরস্থানের পাশে ফরাজী স্টোরে চিপস কেনার অজুহাতে গিয়ে তারা ইরফানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ মামলায় তৌহিদুল ও কাদের আটক হলেও পলাতক রয়েছে পাখি, শিশির ও রাহুল। পুলিশ ও র্যাব জানায়, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরফান ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা ও যশোর পলেটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড