যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ-বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ ছাত্র আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
রোববার এক দফা দাবিতে যশোর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় কেশবপুর উপজেলা শহরে অনুরুপ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর কবীর হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মিছিলের পিছনের হামলা চালায়। তারা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে পলাশ হোসেন নামে এক ছাত্র ছুরিকাহত হয়। ছুরির আঘাতে তার পেটের নাড়িভূড়ি বের হয়ে যায়। এসময় আরো ২০ ছাত্র গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে মিছিলকারীরা ফিরে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহত ২০ জনের মধ্যে তিন ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
এরপর বিক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা ও হামলাকারী কাউন্সিলর কবীর হোসেনের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা কেশবপুর প্রেসক্লাবও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় পুলিশ থানার গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে, এদিন বিকেল ৪টায় মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস, পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। উপজেলা বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়া হলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়া, এদিন বিকেলে যশোর শহরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এ মিছিল থেকে উচ্ছৃংখল কর্মীরা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। তিনি বলেছেন, আন্দোলন বানচাল করতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে নিয়ে শহরে মিছিল করেছে। এসময় তারা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।