যশোরে মঙ্গলবার গভীররাতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বাড়িগুলো ভাংচুর ছাড়াও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একজন আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ পুলিশের পোশাক পরে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
যশোর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে দু’টোর দিকে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংঘবদ্ধ একদল ব্যক্তি ‘ধর ধর’ করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ইট মেরে বাড়ির দোতলা ঘরের জানালা ভাংচুর ছাড়াও গেটে একের পর এক আঘাত করা হয়। এসময় আশপাশ থেকে লোকজন বেরিয়ে আসলে তাদেরকে ঘরে যেতে বলে হামলাকারীরা।
কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের সবাই পুলিশের পোশাক পরা ও হাতে অস্ত্র ছিল। তিনি এ ঘটনাকে নারকীয় অভিহিত করে বলেন, ‘এটাতো কোনো অসভ্য দেশ না। এখানে পুলিশের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া। অথচ তাদের পোশাক পরেই হামলা চালানো হচ্ছে।
যশোর জেলা যুবলীগের সদস্য মুনসুর আলী অভিযোগ করেন, তার উপশহর এ-ব্লকের বাড়িতে মঙ্গলবার রাত ২টা ১৮ মিনিটে হামলা করা হয়। তার বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করা ছাড়াও সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেছে। হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ থাকলেও তারা কারা তা তিনি বলেননি। মুনসুর আলীর বাড়িতে হামলার পরই উপ-শহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটুর বাড়ি এবং যুবলীগ নেতা সোহাগের ঘোপের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তারা। সোহাগের বাড়িতে ঘরের জানালা ভাংচুর করা হলেও চেয়ারম্যান লিটুর বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে চলে যায় হামলাকারীরা।
যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার গভীররাতে তার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা তার এক ভাড়াটিয়ার বাড়ি ভাংচুর করেছে বলেও তিনি জানান।
হামলার বিষয়ে জানতে যশোর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
খুলনা গেজেট/ এ হোসেন