খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

যশোরের ৩৫ ইউপিতে নৌকার ২১, স্বতন্ত্র ১১, বিএনপির ২ চেয়ারম্যান নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের তিনটি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের ২১টিতে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দু’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি এবং একটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মণিরামপুর, শার্শা, ও বাঘারপাড়া উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মণিরামপুর উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নয়টিতে, দলের বিদ্রোহী পাঁচটিতে এবং দু’টিতে স্বতন্ত্র বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

নৌকা মার্কার বিজয়ীরা হলেন, রোহিতা ইউনিয়নে হাফিজ উদ্দীন, কাশিমনগরে তৌহিদুর রহমান, খেদাপাড়ায় আব্দুল আলিম জিন্নাহ, ঝাঁপায় বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, মশ্বিমনগরে আবুল হোসেন, শ্যামকুড়ে আলমগীর হোসেন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী), দূর্বাডাঙ্গায় মাযহারুল আনোয়ার, কুলটিয়ায় শেখর চন্দ্র রায়, নেহালপুরে হুসাইন ফারুক হোসেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ভোজগাতী ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকুরিয়ায় আইয়ুব হোসেন গাজী, হরিদাসকাটিতে আলমগীর হোসেন লিটন, চালুয়াহাটিতে আব্দুল হামিদ সরদার, খানপুরে সিরাজুল ইসলাম।

স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন মণিরামপুর সদরে নিস্তার ফারুক এবং মনোহরপুরে আকতার ফারুক মিন্টু।

শার্শায় যে দশ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অন্য পাঁচটিতে জিতেছেন দল বিদ্রোহীরা।

নৌকা মার্কায় বিজয়ীরা হলেন, লক্ষণপুরে আনোয়ারা খাতুন, পুটখালীতে আব্দুল গফ্ফার সরদার, উলাশীতে রফিকুল ইসলাম, ডিহিতে আসাদুজ্জামান মুকুল এবং শার্শা সদর ইউনিয়নে কবির উদ্দিন তোতা।

দল বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন, বাহাদুরপুরে মফিজুর রহমান, গোগায় তবিবর রহমান, কায়বায় আলতাফ হোসেন, বাগআঁচড়ায় আব্দুল খালেক এবং নিজামপুরে সেলিম রেজা বিপুল।

বাঘারপাড়ার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। বাকি একটিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের জয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন, জহুরপুর ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান মিন্টু, নারিকেলবাড়ীয়ায় বাবলু কুমার সাহা, ধলগ্রামে রবিউল ইসলাম, দোহাকোলায় আবু মোতালেব তরফদার, দরাজহাটে জাকির হোসেন, বাসুয়াড়িতে আমিনুর রহমান সরদার এবং জামদিয়ায় আরিফুল ইসলাম তিব্বত।

ওয়ার্কার্স পার্টির সবদুল হোসেন খান ও রায়পুর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুর রশিদ স্বপন। স্বপন এই ইউনিয়ন থেকে ষষ্ঠবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

এদিকে, বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বলরামপুর সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে রনি ও জিয়াউর রহমান নামে দুই যুবককে চাকু নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বর প্রার্থী শামছুর রহমানের সমর্থকদের হামলায় অপর মেম্বর প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের চার সমর্থক আহত হন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের শালকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেম্বর প্রার্থী তরিকুল ইসলাম তোতা ও অপর মেম্বর প্রার্থী শহীদ ইসলামের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

এতে ৭জন আহত হন। দুপুর ১২টার দিকে নিজামপুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের আশরাফুল আলম বাটুলের সমর্থকদের ছুরিকাঘাতে অপর প্রার্থী চশমা প্রতীকের সেলিম রেজা বিপুলের দু’সমর্থক আহত হন।

মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের সয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে ভোট দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সাইফুল ইসলাম ও জিহাদ হোসেন নামে দুই যুবক প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!