কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার রোধে যশোরের শার্শার বিভিন্ন সীমান্তে পুলিশ ও বিজিবি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। চামড়া পাচারের কোন চেষ্টায় সফল হতে দেবে না বলে ঘোষণাও দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
রোববার (০২আগষ্ট) সকালে বেনাপোলের পুটখালি, দৌলতপুর অগ্রভুলটসসহ বিভিন্ন সীমান্তে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিওপি চৌকিগুলিতে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুরো সীমান্ত জুড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং বাইনোকুলার দিয়ে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছেন। টহলরত বিজিবি সদস্যদের সার্বক্ষণিক সর্তক থেকে সীমান্ত এলাকায় চামড়া পাচার না হয় ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা ও টহল জোরদার করেছেন।
সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয়রা জানান, এবারের কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। ভারতে চামড়ার দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। সেই হিসাবে চামড়া পাচারের সম্ভবনা ও বেশি।
বেনাপোলের সীমান্তবর্তী বড় আঁচড়াগ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল জব্বার জানান, দেশে এবার কোরবানির চামড়ার দাম কম। পাচারকারীরা অধিক মুনাফার আসায় ভারতে চামড়া পাচার করতে পারেন।
চামড়া ব্যবসায়ি সিরাজুল ইসলাম জানান, পানির দামে এবার চামড়া বিক্রি হচ্ছে। এবারের কোরবানির ঈদে ছোট-বড় ২০০ পিস চামড়া ক্রয় করেছি। প্রতিটি ছোট চামড়া ২০০-২৫০ টাকায়। আর ৬ থেকে ১০ মণ গরুর চামড়া ক্রয় করেছি ৪০০-৫০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া ২০-৩০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, দেশে এবার কোরবানির পশুর চামড়া দাম কম হওয়ায় তা ভারতে পাচার হতে পারে জেনে সীমান্ত ঘেষা রাস্তাগুলোয় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে দেশের চামড়া ভারতে পাচার হতে না পারে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ও খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সেলিম রেজা এবং লে. কর্ণেল মঞ্জুর ই এলাহী জানান,ভারতে চামড়া পাচার রোধে তারা যে কোনভাবে প্রতিরোধের ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে তারা সীমান্তে টহল বিজিবি সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। বাড়িয়েছেন গোয়েন্দা তৎপরতাও।
খুলনা গেজেট/এনএম