যশোরে অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বিতর্কিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মিড পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিন দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলাকালে মিড পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসকতো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকা পর্যন্ত নেই। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যিনি রয়েছেন, তারও কোনো একাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ তিনি দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। অভিযানে এ পরিস্থিতি দেখে কর্মকর্তারা ক্লিনিকের ভুয়া কাগজপত্র পুড়িয়ে দেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই যশোরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্যবিভাগ নড়ে চড়ে বসে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাসহ বন্ধ করে দেয় অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান। তথাকথিত এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। এসবের তিন-চারটি ছাড়া মিড পয়েন্টের কিছুই নেই। কাগজপত্রবিহীন অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যশোরে কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য বিভাগের এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর আবু মাউদ, সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতীম লাহিড়ি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
খুলনা গেজেট/এনএম