মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এমএ বারী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার দুপুর একটা ১৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন এম এ বারী। এ কারণে গত ১২ মার্চ তাকে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সে কারণে পরবর্তীতে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক।
এম এ বারী যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের ‘বারী সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এই রাজনীতিক জতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন ছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধু তার বাড়িতেও একাধিকার এসেছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালীন জাতির জনকের কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসেছিলেন এম এ বারীর বাড়িতে।
এম এ বারী মুক্তিযুদ্ধকালীন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যশোরে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সত্তর এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু যখন যশোর এসেছিলেন তখন ওয়াপদা রেস্টহাউজে তার সাথে সাংগঠনিক নানা বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন এম এ বারী। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালেও তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
শিক্ষানুরাগী হিসেবে এম এ বারীর রয়েছে খ্যাতি। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, আব্দুল বারী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে তার রয়েছে অসীম অবদান।
বুধবার মাগরিব বাদ বারীনগর হাইস্কুল মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই