যশোরে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মী আলামিনকে লাঞ্ছিত ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগে শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহবুব রহমান ম্যানসেলকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার আরও ৩ সহযোগী আটক হয়। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে, ম্যানসেলের অন্যতম সহযোগী শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার রাকিব হাসান, অনিক হাসান মেহেদী ও মীর সাদি।
আটকের ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ম্যানসেল ও তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর-১২/২২৬।
প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট ডাক্তার বাপ্পি সুব্রত জানান, এদিন দুপুর ১টার দিকে ম্যানসেল নামে এক যুবক কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাকে কিছু ব্যায়াম দেখানো হয়। তারপর একটি মেশিনে তার থেরাপি দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। প্রতিষ্ঠানের কর্মী আলামিন মেশিনটি প্রস্তুত করেন। এ সময় অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মুনা আফরিন আলামিনকে ডাকলে তিনি মেশিনটি ওপেন না করে চলে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যানসেলের সহযোগীরা আলামিনকে ডেকে মারপিট করে। তার চিৎকার শুনে মুনা আফরিন নিচে নেমে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এসময় তার সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়। একে পর্যায়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, যশোরে ম্যানসেল এক আলোচিত নাম। দু’দফায় গুলি লেগে তার দুটি পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। তিনি সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ’র সক্রিয় অনুসারী। এমপি’র সাথে তাকে দান-খয়রাত করার অনুষ্ঠানে দেখা যায় বলেন স্থানীয়রা জানান। এরআগে তিনি প্রয়াত এমপি খালেদুর রহমান টিটোর অনুসারী ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন বলেন, আমার চাকরি জীবনে এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়িনি। অফিসে কর্মরত অবস্থায় এভাবে লাঞ্ছিত হবো কখনো ভাবতে পারেনি।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত শফিকুল আলম বলেন, সরকারি অফিসে ঢুকে কাজে বাধা দেয়া, কর্মকর্তাকে শ্লীলতাহানি, কর্মচারীতে মারপিট ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড