যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে যবিপ্রবির শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকার সেখানে গেলে তাকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়।
যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জানায়, ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কদমতলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারী সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও ছাত্রলীগ কর্মী জিসান আহমেদ সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে। এরপর কদমতলা থেকে তানভীর ফয়সালের অনুসরীরা শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে এসে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্ব তার অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান আল ইমরান বলেন, আমি হলের ভেতর সাংবাদিকের ওপর আক্রমণের বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে হল প্রভোস্ট সভা করে হলের মধ্যে অভিযান চালিয়েছেন। আমি আহত সাংবাদিককে দেখেছি ও চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আমারা দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনব।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কর্মীদের কোন্দলে সংগঠিত ঘটনা এবং দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ক্যাম্পাসে কোনো অস্ত্রের রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। খুব দ্রুতই কমিটি গঠন করা হবে এবং দোষীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর হামলায় আহত সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্ব প্রকার সহায়তা প্রদান করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই