গত বুধবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে নিজ বাসায় হৃদরোগে মৃত্যু হয় ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার। বুয়েন্স আয়ার্সের উপশহর ভেলা ভিস্তায় মা-বাবার পাশে ম্যারাডোনাকে সমাহিত করা হয়েছে।
আর্জেন্টাইন ফুটবলের নক্ষত্রের মৃত্যুর পর তার সেবিকা অ্যাটর্নি রদোলফো বাকুয়ের দাবি, মারা যাওয়ার আগে ম্যারাডোনা পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। সেই অবস্থায় তিনদিন তাকে একা ফেলে রাখা হয়। কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ম্যারাডোনার। তার আইনজীবীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এরই মাঝে সেবিকার নতুন অভিযোগ। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পড়ে গিয়ে মাথার ডান দিকে আঘাত পাওয়ার পর এমআরআই স্ক্যানের জন্য ম্যারাডোনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
অ্যাটর্নি রদোলফো বাকুয়ের দাবি, ম্যারাডোনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ছিল না। পড়ে যাওয়ার পর তিনদিন বাসায় নিজের কক্ষে একা ছিলেন তিনি। কেউ তার খোঁজখবর নেয়নি।
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, ম্যারাডোনার ২৪ বছরের এক ভাতিজা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে শেষবার জীবিত দেখেছিলেন মৃত্যুর দিন সকালের নাশতার সময়। ম্যারাডোনা তখন ভাতিজাকে বলেছিলেন, আমার ভালো লাগছে না। এরপরই তিনি বিছানায় যান এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ম্যারাডোনার বাসায় রাতের বেলায় দায়িত্বে থাকা সেবিকা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, মৃত্যুর দিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে তিনি ম্যারাডোনাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছিলেন। সেসময় আর্জেন্টাইন লিজেন্ডের শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল স্বাভাবিক। এরপর তার দাবি, সকাল ৯টা ২০ মিনিটেও তিনি ম্যারাডোনাকে জীবিত দেখেছিলেন। অথচ এখন সেই সেবিকা বলছেন যে, তিনি ম্যারাডোনার রুমেই যাননি। তাকে মিথ্যা বলতে বলা হয়েছিল।
সেবিকার দুই রকমের কথায় রহস্য আরও দানা বেঁধেছে। সারা জীবন যিনি বিতর্কের সঙ্গে সখ্য করেছিলেন, মৃত্যুর পর রহস্য যেন ম্যারাডোনার সঙ্গে বন্ধুতা করার পণ করেছে।
খুলনা গেজেট/এএমআর