ডিয়েগো ম্যারাডোনার গুরু বিলার্দো। সেভিয়া, বোকা জুনিয়র্স থেকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল—বিলার্দোর অধীনে খেলেছেন ম্যারাডোনা। ছিলেন বিলার্দোর প্রিয় শিষ্যদের একজন। বিলার্দো তার সাবেক এই শিষ্যকে নিয়ে গর্বিত ছিলেন। অনেক স্মৃতিময় ছবি, ঘটনা ও আনন্দের উপলক্ষ আছেন দুজনের। অথচ সেই ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর এখনও জানেন না বিলার্দো।
মূলত ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর ইচ্ছা করেই ৮৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কোচকে জানানো হয়নি। এর কারণ হলো- এমনিতেই বার্ধক্যের ধকল, এর ওপর অনেক দিন ধরেই রোগে ভুগছেন আর্জেন্টিনার সাবেক এই কোচ। তাই এ অবস্থায় তার প্রিয় মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়ে বিলার্দোর জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায়নি পরিবার। এ মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে তার যদি কিছু হয়ে যায়!
এখন আর্জেন্টিনার ক্লাব ফুটবলের ম্যাচগুলো অন্য অনেক জায়গার মতোই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হচ্ছে। তবে প্রায় প্রতিটি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেই ম্যারাডোনার ছবিসহ ব্যানার ঝোলানো থাকে।
এটা দেখে বিলার্দো কখনও কখনও তার পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন করেন, ‘আমি প্রচুর ম্যারাডোনার ব্যানার দেখছি। কী হয়েছে, কোনো সমস্যা?’
এ প্রসঙ্গটি ধরেই বিলার্দোর ভাই হোর্হে সম্প্রতি বলেন, কিংবদন্তি ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর জানেন না বিলার্দো।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মারা যান ম্যারাডোনা।
খুলনা গেজেট/কেএম