ইঙ্গিতটা এক আইনজীবী ক’দিন আগেই দিয়েছিলেন। গত বুধবার আর্জেন্টিনার এক আদালত সেই আদেশই দিলেন। পিতৃত্বের দাবি সুরাহায় ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রয়াত দিয়েগো ম্যারাডোনার মরদেহ অবশ্যই সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৫ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন ৬০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ফুটবলার। পরের দিন তাকে বুয়েনাস আয়ার্সের উপকণ্ঠে সমাধিস্থ করা হয়।
ম্যারাডোনার আইনজীবী অবশ্য ইতোমধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে বলেছেন, ম্যারাডোনার ডিএনএ নমুনা আগে থেকেই রাখা আছে। তবে এখন আদালত বিশ্বসেরা এ ফুটবলারের মরদেহ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মৃত্যুর আগে পাঁচজনকে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা। এ ছাড়া আরও ছয়জন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলারকে পিতা দাবি করেছেন। এই ছয়জনের মধ্যে একজন হলেন মাগালি গিল। ২৫ বছর বয়সী এই নারী দুই বছর আগে দাবি করেন, ম্যারাডোনা তার পিতা। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আর্জেন্টিনার ‘ন্যাশনাল কোর্ট’ বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে এবং ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্নিষ্ট সরকারি আইন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কিউবাতেও তিনজন ম্যারাডোনাকে পিতা দাবি করে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের ধারণা, প্রায় নয়শ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন ম্যারাডোনা। সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে এই জটিলতার আশঙ্কা অনেকেই করছিলেন।
খুলনা গেজেট/এমএম