ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে হত্যার দায়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ম্যারাডোনা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৬০ বছর।
এর মাত্র ২ সপ্তাহ আগেই মস্তিষ্কে অস্ত্রপাচার হয়েছিল তার। মৃত্যুর পর তার পরিবার দাবি করে, মৃত্যুর পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তারা। এর ভিত্তিতেই শুরু হয় বিশেষ তদন্ত। তদন্ত করতে আর্জেন্টিনার পুলিশ ম্যারাডোনার মস্তিষ্কের অস্ত্রপাচার করা চিকিৎসক ড. লিওপোল্ডো লুকের বাড়ি ও হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানের পর পুলিশ দাবি করেছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড ছিল তার পক্ষে প্রমাণ রয়েছে। এ খবর দিয়েছে এএফপি।
মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে ম্যারাডোনার। কিন্তু তারপর ম্যারাডোনার মেয়েরা বাবার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেসময় অভিযুক্ত চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুক মিডিয়ার সামনে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন। তার দাবি ছিল, তিনি তারকা ফুটবলারকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল না।
এবার সেই লুকসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হলো। আদালতের তরফ থেকে অভিযুক্তদের দেশ ছাড়তে মানা করা হয়েছে। ম্যারাডোনার ২ মেয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার শরীর আরো খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য লুককে দায়ি করেন মারাদোনার ২ মেয়ে। এরপরেই তদন্ত শুরু করে আদালত।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন স্নায়ু শল্যচিকিৎসক লিওপোল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড হতে পারে তাদের। আগামি ৩১শে মে আদালতে উঠতে যাচ্ছে মামলাটি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি