ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ক্রিস ওকসের বোলিং তাণ্ডবে জয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দিনের শেষ সেশনে এই দুই পেসার ৪৫ রানের মধ্যে উইন্ডিজদের শেষ ছয় উইকেট তুলে নেয়। ফলে ক্যারিবিয়ানরা অলআউট হয় ২৮৭ রানে। ১৮২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনশেষে ৩৭ রান যোগ করতে হারায় ২ উইকেট। তবে ইতিমধ্যে ২১৯ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা। শেষ দিন আজ প্রথম সেশনের মধ্যে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারলে। ইংলিশ বোলারদের সামনে ম্যাচ জিতে নেওয়ার জন্য আরও দুই সেশন বাকি থাকবে।
তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে ভেসে যাওয়ার পর চতুর্থ দিন সকাল থেকে সাবধানে ইনিংস গড়তে থাকে সফরকারি ক্যারিবিয়ানরা। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে দিয়ে দিনের প্রথম সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। ৩২ রান করা জোসেফকে ফেরান স্পিনার বেস। এরপর উইন্ডিজ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ধীরলয়ে এগুতে থাকেন। প্রথম দুই সেশনে উইন্ডিজদের মাত্র ৩ উইকেট তুলতে পারে ইংল্যান্ড। এরমধ্যে শেই হোপ ২৫ রান এবং ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ফেরেন ৭৫ রান করে।
পঞ্চম উইকেটে ব্রুকস এবং রোস্টন চেস ৪৩ রান করে এগুতে থাকেন। এরপরই নতুন বল হাতে ব্রড এবং ওকসের তাণ্ডব। ২৪২ রানে ব্রুকসকে (৬৮) ফিরিয়ে শুরু ব্রডের। এরপর জোড়া শূন্যে টানা ফেরান ব্ল্যাকউড এবং ডোরিচকে। ব্রড যেখানে থামলেন ওকস শুরু করলেন সেখান থেকে। ইনিংসের শেষ তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মধ্যে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে উইন্ডিজদের রান ২৮৭ পর্যন্ত নিয়ে যান চেজ (৫১)। ব্রড এবং ওকস দুইজনই নেন ৩ উইকেট করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান বাড়িয়ে নেওয়ার তাড়ায় চমক দিয়ে স্টোকস এবং বাটলারকে ওপেনে পাঠানো হয়। তবে শূন্য রানে রোচের বলে আউট হয়ে ফেরেন বাটলার। এরপর তিনে পাঠানো হয় ক্রলেকে। তবে ১১ রান করে তিনিও রোচের শিকার হন। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের পক্ষে শেষ পর্যন্ত ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ৩৭ রানে দিনশেষ করেন রুট (৮*) এবং স্টোকস (১৬*)। শেষদিন কোন রোমাঞ্চ উপহার দেয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্ট সেটিই এখন দেখার।
খুলনা গেজেট/এএমআর