শীতের বিদায় শেষে প্রকৃতিতে এখন চলছে বসন্তকাল। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই ভাইরাল জ্বর, অ্যালার্জি, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন। ইমিউন সিস্টেম বাড়ানো মৌসুমি ফ্লুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে প্রদাহের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
তবে ইমিউন সিস্টেম একদিনে শক্তিশালী হয় না। এজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি তৈরি প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীর লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
ইমিউন ফাংশন বাড়ানোর টিপস
হাইড্রেটেড থাকুন : যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার এটা অন্যতম শর্ত। বেশি বেশি তরল পান করা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান শরীর ডিটক্স করার একটি ভালো উপায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানে কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে, বিভিন্ন উপায়ে শরীরকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে, ডিহাইড্রেশন শরীরকে কিছুটা দুর্বল করে তোলে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই ইমিউন সিস্টেমে আক্রমণ করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের চক্র : প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টার ভালো মানের ঘুম শরীরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। শরীরকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে সাহায্য করে ভালো ঘুম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে ভালো ঘুম।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
সক্রিয় থাকুন : শরীরকে সক্রিয় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে হবে। বসে থাকলে বা নিস্ক্রিয় থাকলে স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে শরীরে সহজেই ভাইরাল সংক্রমণ হয়। শরীর সক্রিয় রাখতে নিয়মিত হাঁটুন, জগিং করুন। যোগব্যায়ামের জন্য নিয়মিত ১৫- ২০ মিনিট সময় দিন। এতে শরীর এবং মন শান্ত থাকবে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ : মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটি অনিবার্য অংশ। মানসিক চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করাও শরীরকে ফিট রাখার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
খাবারের রুটিন : সকালের নাশতা কখনই এড়িয়ে যাবেন না। সময়মতো খাবার খাওয়া জরুরি। হজমশক্তি বাড়াতে ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান। সূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম।
খুলনা গেজেট/এনএম