মৌমাছির কামড়ে মারা গেছে ১১০ টি কবুতর। এর মধ্যে বেশ কিছু বিদেশি প্রজাতির দুর্লভ কবুতরও ছিল।
শুক্রবার ২ অক্টোবর বিকালে পাবনার ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা গ্রামের বাসিন্দা তানিম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, মৌমাছির চাক থেকে অপরিচিত দু’তিনজন মধু সংগ্রহ করতে আসেন। তারা মৌচাকে হাত দেয়া মাত্রই মৌমাছিরা চারদিকে ছুটাছুটি শুরু করে। এ সময় মৌমাছির ঝাঁক পোষা ১১০ টি কবুতরকে কামড় দেয়। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষক্রিয়ায় একে একে কবুতরগুলো মারা যেতে থাকে।
মৌমাছির কামড়ে তানিমের চাচাতো ভাই রানা (৩৫) ও জসিম (৩৭) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তানিম হোসেন বলেন, আকস্মিক এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। আমার এত শখের দীর্ঘদিনের পালিত কবুতরগুলো চোখের সামনে এভাবে নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারিনি।
তানিম জানান, তার বেশ কিছু বিদেশি প্রজাতির দুর্লভ কবুতর ছিল। তার মধ্যে কোকা, হোমার, লাল চন্দন, হেয়া চন্দন, গিরিবাজ প্রভৃতি প্রজাতির কবুতরও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার তানিম হোসেন লেখাপড়ার পাশাপাশি শখের বশে নিজ বাড়ির ছাদে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন করতেন।
শুক্রবার বিকালে তার বাড়ির পাশে একটি গাছের মৌমাছির চাকে অপরিচিত দু’তিনজন মধু সংগ্রহ করতে আসেন। তারা মৌচাকে হাত দেয়া মাত্রই মৌমাছিরা চারদিকে ছুটাছুটি শুরু করে।
এ সময় মৌমাছির ঝাঁক ছুটে এসে তানিমের ওই পোষা কবুতরগুলোকে কামড় দেয়। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষক্রিয়ায় একে একে কবুতরগুলো মারা যেতে শুরু করে।
এ সময় রানা ও জসিমকে মৌমাছি কামড় দিলে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
খুলনা গেজেট / এমএম