বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ ফুলহাতা লঞ্চঘাটের পল্টুনটি ডুবে গিয়ে দুই দিন ধরে পানির নিচে নিমজ্জিত। সে জন্য জনভোগান্তি চরমে। অসুবিধায় পড়েছে নৌপথের প্রতিদিনের শত শত লঞ্চ যাত্রীসহ ট্রলার যাত্রীরা। দু’দিন অতিবাহিত হলেও এটি উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার পানগুছি নদীর তীরবর্তী ৬টি লঞ্চ ঘাটের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ফুলহাতা বাজার সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত লোক উঠানামা করে। জেলা সদর সহ মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সদর, জিউধরা, বহরবুনিয়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকজন নদীপথে যাতায়াতের জন্য এ ঘাটটি ব্যবহার করে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রলার, নৌকার যাত্রীরা এ লঞ্চঘাট থেকে উঠানামা করে।
মোড়েলগঞ্জ সদর থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহরবুনিয়া ইউনিয়ন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের সময় নদী পথে লঞ্চ, ট্রলারযোগে এলাকার জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। লঞ্চঘাটটি ডুবে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
এ ব্যাপারে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টিএম রিপন জানান, সম্ভবতঃ তলা লিকেজ হয়ে দু’দিন আগে লঞ্চঘাটটি ডুবে গেছে। যার কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিআইডব্লিউ এর তত্বাবধানে এ লঞ্চঘাটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। এলাকাবাসি অনতিবিলম্বে লঞ্চঘাটটি দ্রুত পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডুবে যাওয়া ফুলহাতা লঞ্চঘাটের পল্টুনের বিষয়টি তিনি অবহিত নন। খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেএম