বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের খাউলিয়া ও সদর ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজটি হুমকির মুখে। ব্রিজের এপ্রোজ রোড (ইউং ওয়াল) ৬ মাসের ব্যবধানে আবারও ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একাধিকবার সংস্কার করেও অর্থ বরাদ্দ আসছে না কোন কাজে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে নানা যানবাহন। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে জানা গেছে, ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে আর ডিআইপি-২৫ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় উপজেলার মোড়েলগঞ্জ সদর ও খাউলিয়া দুটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনগুরুত্বপূর্ন সংযোগ ব্রিজ। গত ২ বছর পূর্বে দুই পারের সংযোগে একবার অর্থ বরাদ্দে সংস্কার হয়। পরবর্তীতে গাবতলা অংশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় পুনরায় চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডিপির বরাদ্দে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়কটির এপ্রোজ রোড মেরামত করা হলেও ৪ মাসের ব্যবধানে নতুন করে এক সপ্তাহ পূর্বে বড় ফাটল সৃষ্টি হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সদর ইউনিয়নের গাবতলা পাড়ের একটি অংশ। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত পথচারি ও পরিবহন। ভারি যান-বাহন চলাচল নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড টানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ব্রিজের দু’পাড়ের স্থানীয় গ্রামবাসিরা জানান, পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন ও পূর্ণিমার জোয়ারের অতিরিক্ত স্রোতে রাস্তাটির মাটি ভেঙ্গে পড়ে। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় ভ্যান ও ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ড্রাইভাররা কিছু মাটি ও ইট ভাংগা দিয়ে কোন মতে চলাচল করছে। রাস্তা সংস্কারের নামে ধুলোবালি দিয়ে তার ওপর আনুমানিক ৫ শ’র মতো ইট দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন জানান, সংস্কারের কাজটি তার ওয়াডের্র হলেও তিনি এ কাজ সম্পর্কে কিছু জানেন না। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, এ কাজের বিষয় তার কিছু জানা নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য এডিপির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ ছিল। সংস্কার কাজটি উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন পর্যায়ে পিআইসির কমিটি কাজটি করেন। নতুন ভাঙ্গনের বিষয়ে ইতোপূর্বে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল দু’ দফায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। আগামি সপ্তাহে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আরও একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে আসার কথা রয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ