জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ও মৌসুমি একাদশ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব বনাম মহেশ্বারপাশা ক্লাব। এ ম্যাচে সৌরভের হ্যাটট্রিকে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ৪-০ গোলে মহেশ্বারপাশা ক্লাবকে পরাজিত করে। বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসবিআলী ফুটবল একাডেমি ও মৌসুমি একাদশ। এ ম্যাচে রাশিদুলের জোড়া গোলে মৌসুমি একাদশ ২-১ পরাজিত করে এসবিআলী ফুটবল একাডেমিকে ।
দিনের প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সৌরভের হ্যাটট্রিকে মাঠে দাঁড়াতেই পারেনি মহেশ্বারপাশা ক্লাব। সৌরভ ৩, ৫৫ ও ৬১ মিনিটে গোল ৩টি করেন। অপর গোলটি আসে ৬৯ মিনিটে ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় পুষ্পকের পা থেকে। পক্ষান্তরে মহেশ্বারপাশা একটি গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করে। তবে মোহামেডানের শক্তিশালী রক্ষণভাগের কাছে তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ জয়ে মোহামেডানের ৫ খেলায় ৪ জয় ও এক ড্র নিয়ে ১৩ পয়েন্ট। তাদের খেলা বাকি আবাহনী ও উইনার্সে সঙ্গে। অপর দিকে মহেশ্বারপাশার সমান সংখ্যক ম্যাচে ২ জয়, ২ পরাজয় ও এক ড্র নিয়ে ৭ পয়েন্ট। মহেশ্বারপাশারও খেলা বাকি আবাহনী ও উইনার্সে সঙ্গে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী আব্দুর রহমান ঢালী, নাজমুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান ও বাশির আহমেদ লালু। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এহসানুল হক।
দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে অনেক শক্তিশালী ছিল এসবিআলী ফুটবল একাডেমি। কারণ তারা ৪ খেলায় অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে। অন্যদিকে মৌসুমি আগের ৩ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। এদিন লীগে এসবিআলী ফুটবল একাডেমির ছিল প্রথম হার। পক্ষান্তরে মৌসুমির প্রথম জয়। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল এসবিআলী। খেলার ২৮ মিনিটে এসবিআলীর ২নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় শিমুল গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মৌসুমি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ফলও পায়। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মৌসুমির ৫নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাশিদুল গোল করে খেলায় সমতা আনে (১-১)।
সমতা নিয়ে বিরতীতে যায় উভয় দল। বিরতী থেকে ফিরে আবারও আক্রমণ শুরু করে এসবিআলী। তাদের আক্রমনে বল ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মৌসুমির রক্ষণভগের খেলোয়াড়রা। মূহু মূহু আক্রমণ করের গোল করতে ব্যর্থ হয় এসবিআলীর ফরোয়ার্ডরা। খেলার ৭৬ মিনিটের সময় বামপ্রান্তে ফাউল পায় মৌসুমি। সেখান থেকে ফ্রি কিক বড় ডি বক্সেও মধ্যে ফেললে আবারও সেই রাশিদুল কিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেয় (২-১)। পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এসবিআলী। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় মৌসুমির শক্তিশালী রক্ষণভাগ। ফলে লীগে প্রথম হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এসবিআলী ফুটবল একাডেমিকে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী কামাল হোসেন, তকদির হোসেন, আকিব জাভেদ ও রিয়াজ আহমেদ। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন নৃপেন রায়। খেলা দু’টির মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোতালেব মিয়া, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, ডিএফএ সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ এবং সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ১২ আগস্ট শুক্রবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল পৌনে ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলাকা ম্পোটিং ক্লাব ও ইয়ং রেডসান ক্লাব।