নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রভাব ফেলে ত্বকের উপর। তাই রেশমের মতো মোলায়েম ও মসৃণ ত্বক পেতে চাইলে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং রূপরুটিনের সমন্বয় জরুরি। সুন্দর, নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য মেনে চলুন ১০ টিপস।
১। আলতোভাবে পরিষ্কার করুন
ত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল এবং মেকআপ দূর করার জন্য মাইল্ড ও সালফেটমুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। আলতো হাতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। এমনভাবে পরিষ্কার করবেন যেন ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
২। এক্সফোলিয়েশন করুন
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় কোমল ও মসৃণ। সপ্তাহে এক থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন স্ক্রাবার।
৩। হাইড্রেশন
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখুন। হাইড্রেটেড ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল দেখায়।
৪। সূর্য থেকে ত্বক রক্ষা করুন
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি। সানস্ক্রিন যেন এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি মাত্রার হয়। প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন, এমনকি মেঘলা দিনেও।
৫। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তাজা ফল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রাখুন।
৬। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ফ্যাটি মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোটের মতো খাবার খান। এগুলোতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে তা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৭। নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি
ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা আপনার ত্বকের কোষকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
৮। পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম জরুরি। ঘুমের সময় শরীর ত্বককে মেরামত করে এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
৯। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ত্বকের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধ্যান, গভীর শ্বাস বা যোগের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলো অনুশীলন করুন।
১০। ত্বকের যত্ন নিন রুটিন মেনে
একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ স্কিনকেয়ার রুটিন তৈরি করুন যার মধ্যে থাকবে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এবং সানস্ক্রিন। ত্বকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে সিরাম এবং ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খুলনা গেজেট/এনএম