আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ। রবিবার সকাল থেকে আবারও নাগরিক সেবায় ফিরেছেন ইউনিয়ন পরিষদটি। গত দুই সপ্তাহ পর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা পেয়ে খুশি নাগরিক সনদ নিতে আসা মিলন হাওলাদার, হেলাল মৃধা।
নাগরিক সনদ নিতে আসা মিলন হাওলাদার জানান, আমি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি নিব তাই নাগরিক সনদ নিতে এসেছি।
অতিদ্রুত এই সেবা স্বাভাবিক করে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা ভুক্তোভোগিরা।
নিশানবাড়িয়া ইউপি সদস্য মো.আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, নাগরিকদের সকল ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত। জন্ম সনদ সহ সকল সেবা এখন থেকে খুব সহজে পাওয়া যাবে। সাময়িক এ সমস্যার দুঃখও প্রকাশ করেন এ জনপ্রতিনিধি।
অপরদিকে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন, খাউলিয়া ইউনিয়ন, পুটিখালী ইউনিয়ন ও হোগলাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নিশানবাড়িয়া পরিষদে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম লিটন, মোসা: জোছনা বেগম, মো. আব্দুর রহিম মৃধাসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যবৃন্দ, পুটিখালী ইউনিয়নে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব মো. বাবুল মোল্লা, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুদ আলম হাওলাদার, মো. সিদ্দিকুর রহমান, কায়কোবাদ শেখ, মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. বিটুল বিশ্বাস জানান, সকল সেবা এখন থেকে খুব সহজে পাওয়া যাবে। সাময়িক এ সমস্যার দুঃখ্য প্রকাশ করেন এ জনপ্রতিনিধি।
এ সর্ম্পকে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. সালাহ উদ্দিন ও খাউলিয়া ইউনিয়নের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পুটিখালী ইউপি সচিব বাবুল মোল্লা জানান, সংকটকালনি সময়েও আমরা অফিস করেছি। সাদ্যমত নাগরিক সেবা দিয়েছি। ইউপি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাই ইউনিয়ন পরিষদটি যেন আজ প্রান ফিরে পেয়েছে। জনগনের নাগরিক সেবা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার থেকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনগনকে নাগরিক সেবা দিতে পেরেছি। জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারেশকায়েম সনদসহ সকল প্রকার সেবা পাবেন নাগরিকরা। পরিষদের সকল পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিল। আশা রাখি ভবিষ্যতে সেবা প্রত্যাশিরা আর সেবা বঞ্চিত হবেনা।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফখরুল হাসান বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী আমরা জনপ্রতিনিধিদের স্ব স্ব স্থানে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এর পরেও যে সকল জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না তাদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নাগরিক সেবার বিষয়টি দ্রুতই সমাধান হবে বলেও আশা করেন এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এএজে
