বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পেতে কৃষকে হতে হচ্ছে হয়রানি। ইউনিয়নে ডিলারদের প্রায় অধিকাংশ দোকান থাকছে বন্ধ। অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনতে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে। প্রয়োজনীয় সাব-ডিলার না থাকায় সীমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে সার কিনে আনতে হচ্ছে চাষিদের। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। স্থানীয়দের দাবি সাব ডিলার নিয়োগের।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সরকারিভাবে বিসিআইসি ১৭ জন সার ডিলার ও সাব ডিলার ১৫৩ জনের স্থলে রয়েছে ৯৮ জন মাত্র। প্রয়োজনের তুলনায় সাব-ডিলার না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে খরচ বহন করে সার কিনতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকেও অতিরিক্ত মূল্যে খুচরা ক্রয় করতে হচ্ছে সার।
এদিকে চিংড়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর ও চন্ডিপুর গ্রামে ৮ কিলোমিটার দূরত্ব নারিকেল বাড়িয়া বাজারে ডিলারের কাজ থেকে সার ক্রয় করতে হচ্ছে কৃষকের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সীমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনে আনতে হচ্ছে দুই গ্রামের কৃষকদের। ইউনিয়নের ঘোপের বাজারে খুচরা ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরহোগলাবুনিয়া, চৌকিদার বাজারে সার ক্রয়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে । সার ক্রয় করতে হচ্ছে ঘোসের হাট বাজার থেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী বলেন, সারের ডিলারদের নিয়ে ইতোমধ্যে সভা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ডিলারদের দোকান খুলে রাখা এবং ইউনিয়ন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদার বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিলারদের পরিবহন খরচ বাড়ানোর আবেদন বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিসিআইসি সার ডিলারদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করা হয়েছে। সার নিয়ে কোন প্রকারের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার পায়তারা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সাব-ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
টি আই