বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৪২ বিঘা জমির বিবাদমান একটি মৎস্য ঘের দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ওই ৭ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার দিকে জিউধরা ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার(২৮ আগষ্ট) ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছেন, মানিক হাওলাদার(২০), সাজ্জাদ খান(২৬), তুহিন হাওলাদার(২০), রাজিব কাজী(২৮), রনি খান(৩৫), রিয়াজুল হাওলাদার(৩৫) ও নয়ন সিপাহি(২৮)।
জানা গেছে, বাগেরহাট শহরের নাগেরহাটের বাসিন্দা মো. জিহাদুল ইসলাম ইকবালকে চুক্তিনামার মাধ্যমে লিখিত করেন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান খান। মঙ্গলবার বিকেলে ৩টায় ঘেরটি বুঝিয়ে দেওয়ার জেন্য সরেজমিনে যায় জিহাদুল ইসলাম। তথন পূব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর অর্তকীত হামলা করেন। জখমীদের মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্যৗ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুত্বর জখমী রনি খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তিরিত করা হয়। এ মামলায় হয়িরানির করার উদ্যোশে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব, যুগ্ন আহবায়ক, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতিকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। পাশাপাশি ঘের দখলের সাথে তাদের কোন সর্ম্পক নেই বলে দাবি করেন।
জিউধরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান খানের দখলে থাকা ১৪২ বিঘা জমির ওই ঘেরটির মালিকানা লিখে দেন বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের এক নেতার নামে। ওই ছাত্রদল নেতা মঙ্গলবার বিকেলে ঘেরটি দখলে নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, ঘের দখলকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। হাসাপাতালে ভর্তি থাকা ৭জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি