খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ জনের করোনা পজিটিভ
  খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

মোরেলগঞ্জে শত শত বিঘা আমন বীজতলা পানির নিচে, ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিরা

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ টানা ৮ দিনে ভারী বর্ষণে ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় শত শত বিঘা আমন বীজতলা ও আউশ রোপা ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা। প্রশাসনের প্রতি স্থানীয় চাষিদের দাবি বদ্ধকৃত খালগুলো বাঁধ কেটে দিয়ে মাঠের পানি নামানোর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার গত ৮ দিনের টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। যে কারণে চলতি আমন মৌসুমে বীজতলা ও আউশ রোপণকৃত প্রায় ২ হাজার বিঘা ফসলি মাঠ পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। বীজতলা পচে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে এ উপজেলায় স্থানীয় আমন ধান ১শ’ হেক্টর ও ২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল আমন বীজতলা, ৭৭৪ হেক্টর জমিতে আউশ রোপণ করেছে কৃষক।

জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নিচু এলাকা প্রত্যন্ত ইউনিয়ন জিউধরা, বহরবুনিয়া, চিংড়াখালী, বারইখালী, নিশানবাড়িয়া, হোগলাবুনিয়া, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, পঞ্চকরণ দৈবজ্ঞহাটী, তেলিগাতীসহ পৌর শহরের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো ফসলি মাঠে এখন হাঁটু পানি জমে রয়েছে। ছোট ছোট নালা ও ফসলি মাঠের পাশে খালগুলো বাঁধ দিয়ে আটকে রাখার কারণে পানি নামাতে পারছেন না কৃষক। এ ছাড়াও কৃষকের মাঠে থাকা ঢেরস, পেপে, মরিচ, করলা, শসাসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি ফসলের চারা পানির নিচে থাকায় পচন ধরার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের খালখুলা গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান ফকির, মাহবুবুর রহমান, আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের সাদেক হাওলাদার, জোকা গ্রামের ফারুক শেখ, পঞ্চকরণ ইউনিয়নের মজিবর জোমাদ্দার, কুমারিয়া জোলা গ্রামের শাওন শেখসহ একাধিক কৃষক বলেন, এ বছর আমন বীজতলা ফসলি মাঠে তাদের ৫/৬ বিঘা জমিতে বীজ ধান ফেলেছেন। ধান ফেলার ৩/৪ দিন পরেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একটানা বৃষ্টি চলছে। প্রত্যেক মাঠেই হাঁটু পানি জমে রয়েছে। পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। অনেক খালে বাঁধ রয়েছে আবার কোন কোন স্থানে ঘন ঘন জাল পাতার কারণে পানি নামতে পারছে না।

এ বিষয়ে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে যেসব ফসলি মাঠে পানি জমে রয়েছে সেক্ষেত্রে কৃষকদেরকে নালা কেটে দ্রুত পানি অপসারণের জন্য চেষ্টা চলছে। ক্ষতির বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না।

এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রবল বর্ষণে এ উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে ফসলি মাঠে পানি জমে থাকার কারণে আমন বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। তবে, ২/৩ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণটা কমে আসবে। তিনিসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ দুর্যোগের বিষয়ে সার্বক্ষণিক কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!