বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে “দ্বীন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি” নামে একটি হায় হায় প্রতিষ্ঠান গ্রহকদের কাছ থেকে সঞ্চয় নিয়ে লোন দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিবার বেলা ১১টার দিকে পূর্ব সরালিয়া গ্রামে সংস্থাটির ভাড়ার অফিসে ভীড় জমান ভূক্তভোগীরা। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকরা জানান, সানকিভাঙ্গা কেন্দ্রে ১০ সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে শিউলি বেগমের নিকট থেকে ১০
হাজার ৬৪০ টাকা, ঝর্ণা বেগম ১৫ হাজার ৬২০টাকা, বারইখালী কেন্দ্রর সদস্য ১০, ফরিদা ইয়াসমিন ৫ হাজার ৬২০ টাকা, বড়পরী কেন্দ্রের সদস্য ১০, মো. নাসির মীর ১০ হাজার ১২০টাকা, সেলিম মাতুব্বার ১০ হাজার ১২০। খাউলিয়া কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যাও ১০ জন। এদের মধ্যে মো. ইমাম হাওলাদারের নিকট থেকে ১০ হাজার ১২০টাকা, মো. হালিম শেখ ৫ হাজার ৬২০ টাকা, ফজিলা বেগম ১৫ হাজার ৬শ’, লিটু শেখ ৫ হাজার ৬২০ টাকা দিয়েছেন। বারইখালী ৩নং ওয়ার্ডে সদস্য ১০ জন। এখানে লাভলু শেখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এরকম শত শত গ্রহকদের নিকট থেকে দ্বীন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামের এ এনজিওটি উপজেলার বারইখালী, চৌদ্দঘর, খাউলিয়া, সানকিভাঙ্গা, বড়পরীসহ ১৬টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা দুই শতাধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ম্যানেজার খলিলুর রহমানসহ ৬ জনে। রবিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে সঞ্চয় বইয়ে স্বাক্ষর করে এ টাকা আদায় করেন তারা। প্রাথমিকভাবে সদস্য ফি ১২০ টাকাও এর সাথে জমা নেয়। সোমবার সঞ্চয়ী এসব গ্রাহকদের লোন দেওয়ার কথা থাকলেও কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছে। গ্রাহকদের কাছে দেওয়া ওই অফিসের ভিজিটিং কার্ড জনৈক ম্যানেজার মো. খলিলুর রহমানের ০১৩২৬২৬১৪৮৩ মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়াও ওই অফিসে ফিল্ড কর্মচারি পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে খাউলিয়া ইউনিয়নের সুমি আক্তারের নিকট থেকে ২০ হাজার, সদর ইউনিয়নের চৌদ্দঘরের রুমি বেগমের নিকট থেকে ১০ হাজার ও পৌরসভার সানকিভাঙ্গা মুক্তা খাতুনের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারিদের।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী অফিসের ভবন মালিক মো. ফরহাদ হোসেন মিলন বলেন, দ্বীন ওয়েলফেয়ার
সোসাইটি নামে একটি এনজিও তার ভবনের একটি রুম ১ জানুয়ারি থেকে ১০ হাজার টাকা মৌখিক চুক্তি নিয়ে ১ হাজার টাকা অগ্রিম দেয়। শনিবার লিখিত কাগজপত্রসহকারে চুক্তি সম্পন্নর কথা ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের রিসিপ করে আনার কথা বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে ম্যানেজার খলিলুর রহমানের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, নারী পুরুষ একাধিক গ্রাহকরা মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস